বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ১০১ রানে বিধ্বস্ত করেছে ভারত। কোহলির ৬১ বলে ১২২ রানে ভর করে ভারত করেছিল ২১২ রান। জবাব দিতে নেমে ২১ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানরা পরে ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটিতে করে ১১১ রান।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
আফগানদের অল্প রানে আটকে দিতে ক্যারিয়ার সেরা বল করেছেন ভুবনেশ্বর। ৪ ওভার বল করে স্রেফ ৪ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। এমন বোলিং করেও অবশ্য কোহলির রাজকীয় দিনে ঢাকা পড়ে যেতে হবে তাকে।
বিস্ফোরক সেঞ্চুরি দিয়ে দীর্ঘ খরা কাটালেন কোহলি
২১৩ রান তাড়ায় গিয়ে প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বরের তোপে পড়ে আফগানিস্তান। হজরতুল্লাহ জাজাই ও রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে তুলে নেন তিনি। জাজাই হন এলবিডব্লিউ। ভেতরে ঢোকা বলে স্টাম্প খোয়ান রাহমানুল্লাহ। তৃতীয় ওভারে করিম জানাত ভুবনেশ্বরের বলে স্লিপে ধরা দেন কোহলির হাতে। ওই ওভারেই নাজিবুল্লাহ জাদরান হন এলবিডব্লিউ। পরের ওভারে মোহাম্মদ নবিকে তুলে নেন আর্শদিপ সিং। আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে তুলে পরে পঞ্চম শিকার ধরেন ভুবনেশ্বর।
২১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা আফগানরা এই ম্যাচে আর কিছু করার অবস্থায় ছিল না। তিন নম্বরে নামা ইব্রাহিম জাদরান যদিও শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেননি। তার ৫৯ বলে ৬৪ রান হারের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় ভারত। রোহিত শর্মা না থাকায় লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে যান কোহলি। ক্ষুরধার ব্যাটে তিনি ক্রমেই হয়ে উঠেন বিস্ফোরক। ১১৯ রানের জুটির পর রাহুল ৬১ করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। সূর্যকুমার যাদবও এসে দ্রুত ফিরে যান।
রিশভ পান্তকে একপাশে রেখে গড়েন ৪২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের আরেক জুটি। যাতে পান্তের অবদান কেবলই ২০। ২৬ বলে ওই জুটির ৬৬ আসে কোহলির ব্যাটে।