সেপ্টেম্বর মাসেই শেয়ারবাজারের আকার ৮ লাখ কোটি টাকা হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি ফান্ড ও ইনভেস্টর ক্লেইম স্যাটেলমেন্ট প্রোগ্রামে এ কথা বলেন তিনি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দুই বছর আগে যখন আমরা দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন পুঁজিবাজারের আকার ছিল ৩ লাখ কোটি টাকা। সেখান থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সিডিবিএল যদি সঠিকভাবে কাজ করে তবে এই মাসেই বাজারের আকার হবে ৮ লাখ কোটি টাকা।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, বিশাল সংখ্যক মানুষ পুঁজিবাজার বিমুখ। কারণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাজ করছে কমিশন। ইতিমধ্যে ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পণ্য আসছে। সরকার এ ব্যাপারে সহায়তা করছে। আশা করছি আগামীতে শিল্পায়নের পুঁজিসংগ্রহ ও বিনিয়োগকারীরা জন্য বড় মাধ্যম হবে পুঁজিবাজার।
সিএমএসএফ নিয়ে তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন দেয় না, সেসব কোম্পানিকে আমরা ডেকে নিয়ে আসি। রিটার্ন না পাওয়ায় বিশাল জনগোষ্ঠী ক্যাপিটাল মার্কেট বিমুখ। আমরা চেষ্টা করছি তাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে। এজন্য ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ডের সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন ২০ বছর আগের মানুষও ক্যাপিটাল মার্কেটে আবার আসছে।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও মিজানুর রহমান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান
অনুষ্ঠানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লভ্যাংশ বাবদ তার ছোট ছেলে সাইফ ইমামের কাছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪১০ টাকার চেক হস্তান্তর করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। ১৯৯৩ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন জাহানারা ইমাম। সেই কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ বাবদ এ টাকা শহীদ জননীর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।